শরীরের প্রতিটি অঙ্গই খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।দাঁত ও মাড়ির যত্ন সঠিক ভাবে না নেওয়ার ফলে দাঁত ও মাড়ির রোগ দেখা
দেয়,যার চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। খাদ্য পিরামিড এর সকল স্তরের খাদ্য পরিমিত পরিমাণে
গ্ৰহণ ও সুষম ডায়েট নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দাঁত ও মাড়ির সুস্থতা বজায় রাখা
সম্ভব। তাছাড়া ঘুম থেকে উঠে ও ঘুমোতে যাওয়ার আগে দাঁত অবশ্যই ব্রাশ করতে হবে।
দাঁত
ও মাড়ির যত্নে যেসকল খাদ্য বিশেষ ভাবে ভূমিকা রাখে সেগুলো হলোঃ-
১)ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার দাঁত ও মাড়ি সুস্থ
রাখে। দুধে আছে ক্যাসেইন যা মুখগহ্বরের ক্ষরীয়ভাব নিষ্ক্রিয় করে। পনির মুখে লালার
নিঃসরণ বাড়ায় এবং মুখ ও দাঁত পরিষ্কার রাখে। দইয়ের প্রোবায়োটিক মুখ ও দাঁতের
স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে।
২)ফাইবার সমৃদ্ধ (কপি-জাতীয়) সবজি খেতে হবে।এসকল খাবার ভালো করে
চিবিয়ে খেতে হবে,যা দাঁতের জন্য উপকারী।
৩)স্ট্রবেরি,কমলালেবু,আপেল ও কাঁচা গাজর দাঁতের জন্য উপকারী।
এসকল খাদ্য গ্ৰহণ দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
৪)কাঁচা পেঁয়াজ দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখে।কাঁচাপেঁয়াজ নিয়মিত খেলে
মুখের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ দূর হয়। দাঁত এবং মাড়ি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৫)বাদাম দাঁতের ক্ষয় পূরণে সহায়তা করে এবং দাঁতকে শক্ত করে।
৬)খাবার খাওয়ার পর প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।পর্যাপ্ত
পরিমাণ পানি পান করলে এসব আটকে থাকা খাবারের কণা দূর হয়ে যায় ও ব্যাকটেরিয়ার
সংক্রমণের সৃষ্টি হয় না।
৭)ভিটামিন-এ মাড়ির স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং মুখের
লালার প্রবাহকে ভালো রাখে। শাকসবজি, গাজর, আম, মিষ্টিআলু, মাছের তেল ইত্যাদিতে ভিটামিন-এ
পাওয়া যায়।
দাঁতের
জন্য ক্ষতিকর খাদ্য সমূহ হলোঃ-
১)আঠালো ও চিনিযুক্ত মিষ্টি,
ক্যান্ডি, পেস্ট্রি, কেক, ব্রেড এবং মচমচে ও ভঙ্গুর খাবার যেমন বিস্কুট, চিপস ইত্যাদি
দাঁতের ফাঁকে আটকে যায়।
২)খেজুর, কিশমিশ খাওয়ার
পর দাঁতে লেগে থাকলে এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে। আবার অ্যাসিডযুক্ত টক ফলের
অ্যাসিডও এনামেলের ক্ষতি করে। এ ধরনের খাবার গ্রহণের পর ভালোভাবে কুলি করে নিতে হবে।
৩)কার্বোনেটেড কোমল পানীয়তে
প্রচুর চিনি, ফসফরিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। এগুলো এনামেলের জন্য ক্ষতিকর।
৪)চকলেট, চুইংগাম, বিস্কিট, ফাস্ট ফুড, মিষ্টি, কোমলপানীয়
ইত্যাদি খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো।
0 মন্তব্যসমূহ